১২-১৭ কিংবা ১৮ এই বয়সের সেই আধোজাগা সম্পর্কগুলো..!!
১২-১৭ কিংবা ১৮ এই বয়সের প্রেম/সম্পর্কগুলো
অনেকটা রাত
জেগে দেখা স্বপ্নের মত।
হতে পারে সেই প্রথম ক্র্যাশটা ক্লাসমেটের
উপর,
হয়তোবা বার্ষিক ক্রিড়াপ্রতিযোগিতায়
স্কুল মাঠে দেখা বড় কোন ভাইয়ার উপর,
হতে পারে পাশের বাসার ছটফটে তরুনীর
উপর,
অথবা নীল-সাদা-কালো এই
ফেসবুকে কারোও
প্রোফাইল পিকচারেল উপর,
ছোটবেলায় খেলারছলে জামাই-বউ
সাজা সেই ছোট্ট কাজিনের উপরও
হতে পারে!…
এই হুট
করে এসে যাওয়া ব্যপারগুলো ততটা প্রভাবশালী না হলেও,
স্থায়িত্বের রেশটুকু ব্যপক।
.
.
আপনি আজ রাতে ঘুমোতে যাবার সময় ঠিক
করে নিলেন, খুব সুন্দর নিজের ইচ্ছেমাফিক
এক
স্বপ্ন দেখবেন।
চোখ বন্ধ করে জোর করে সেই স্বপ্নের প্লটও
সাজিয়ে নিলেন।
আপনি জানেন এটা কেবলই একটা সুখস্বপ্ন, তবু
স্বপ্নের মাঝেই আপনি আপনার অপূর্ণ
আশাগুলো একে একে পূরণ করে চলবেন।
একসময় আপনি ঘুমের আলফা লেভেল পার
করে বিটা লেভেলে পৌছে যাবেন!
এই লেভেলে আর স্বপ্নের
উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা।
তখন স্বপ্ন ইচ্ছেমাফিক চলবে।
সাধারণত ঘুম ভেঙে এই লেভেলের
স্বপ্নগুলোকেই আমরা স্মরণে আনতে পারিনা!
আস্তে আস্তে আপনি চলে যাবেন ঘুমের
গামা লেভেলে।
যে লেভেলে মস্তিষ্ক আর আপনাকে কোন
স্বপ্ন দেখায় না!
আপনি গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন…
আর সকালে উঠে ঐ
আলফা লেভেলে থাকা স্বপ্নটা আপনার
কাছে মনে হবে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
পরদিন হয়তো আপনি আবার সেই স্বপ্নটা চালু
করবেন আগের মতো!
… … …
ঠিক তেমনই হয়ে থাকে টীনএজের সম্পর্ক/
প্রেমগুলো!
হুট করে কাউকে ভালো লেগে গেলো,
বন্ধুরাও আপনাকে আশ্বাস দিয়ে গেলো
ব্যস… আপনিও শুরু করে দিলেন আপনার মনের
ভিতর আলফা লেভেলের ভালোবাসা চক্র!
মেক্সিমাম ক্ষেত্রেই, এই
সম্পর্কটা একতরফাভাবে হয়ে থাকে।
প্রথম প্রথম আপনি তাকে নিয়ে স্বপ্ন
সাজাতে থাকেন,
কারণ তখন সেই স্বপ্নটা দেখতে/
ভাবতে আপনার ভালো লাগে।
একসময় শুরু হয়, স্বপ্ন
বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা।
যাদের ক্ষেত্রে এ লেভেলটা সাকসেস
তাদের নিয়ে একটু পরে আসছি!
অনেকেই তখন তার তৈরিকৃত
স্বপ্নটা সত্যি করে দেখার জন্য
উঠেপড়ে লাগেন।
তৈরি হয় বাস্তবতা।
আপনি তখন খেয়াল করেন যে, আপনার এই হুট
করে ক্র্যাশ খাওয়া সম্পর্কের অস্তিত্ব কেবল
আপনার মাঝে
বিদ্যামান!
শুরু হয় ফ্রাস্টেশন, ক্ষোভ, নস্টালজিয়া, ইনস্
মনিয়া প্রভৃতি।
আপনি এখন লেভেল বিটাতে আছেন।
আপনি চাইলেও এখন আপনার নিজের তৈরিকৃত
স্বপ্নটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না!
এভাবেই চলতে থাকে।
যতদিন আপনি ২য় কোন ক্র্যাশ না হচ্ছেন…
আর যারা আলফা লেভেলের পর
সৌভাগ্যক্রমে রিলেশন করতে পারেন,
তারাও এই লেভেলের বাইরে যেতে পারেন
না!
হয়তো দেখা যাবে, কেউনা কেউ একজন
বিট্রে করছেই!
কারণটা নিতান্তই সিম্পল,
যখন একজন বিটা লেভেলে গিয়ে সঙ্গীর
প্রেমে হাবুডুব খাচ্ছে অন্যজন তখন,
আলফা লেভেলে থেকেই অপর কোন
ক্র্যাশে জড়িত হয়ে যাচ্ছে
সম্পর্কটা ভেঙে যায়।
এখানে লক্ষনীয় যে, দুই পরিবেশের কেউই
কিন্তু “গামা লেভেল” এ যায়না।
তার কারণ, বয়সটা তখন কৈশোর যৌবনের
মাঝামাঝি!
এই বয়সে মনের খেয়ালে অনেক
ভালোলাগা তৈরি হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো,
কয়জন পারে সেই
আধভাঙা স্বপ্নটা ভুলে যেতে??
কেউ কেউ একটু বড় হয়ে,
ব্যপারগুলো ছোটবেলার
খামখেয়ালি ভেবে ভুলে যেতে চায়।
হয়তো পারেও।
নতুন প্রেমিকের বুকে মাথা গুজে খুজে পায়
সুখ।
কিন্তু রাস্তা পাড় হতে গিয়ে যেদিন
সামনাসামনি পড়ে যায় সেই
চশমা পড়া পরিচিত মুখ!
সুখি মেয়েটাও সেদিন বালিশে মুখ
গুজে অল্প কাঁদে।
কেউ কেউ ভুলতে চায়না।
এই অপ্রাপ্তিটাকেই চায় লালন
করতে সারাজীবন।
দূর থেকে হয়তো সে আজও
মেয়েটাকে সে ফলো করে যায়।
চিনে ফেলার আশংকায় কিছুদুর
যেয়ে ফিরে আসে।
জোৎস্না রাতে ছাদের রেলিঙে বসে,
হয়তো কেউ সিগারেটের ধোয়ায়
বৃথা শান্তি খুজে বেড়ায়!
নাহ্…চাইলেও আমরা ভুলতে পারিনা,
১২-১৭ কিংবা ১৮ এই বয়সের সেই
আধোজাগা সম্পর্কগুলো।
কি দরকার?
থাকনা সেগুলো,
হয়তো এই আধভাঙা স্বপ্নটাই সম্পুর্ণ করার জন্যই
রাত জেগে আছে শতসহস্র জোড়া চোখ!
…..
অনেকটা রাত
জেগে দেখা স্বপ্নের মত।
হতে পারে সেই প্রথম ক্র্যাশটা ক্লাসমেটের
উপর,
হয়তোবা বার্ষিক ক্রিড়াপ্রতিযোগিতায়
স্কুল মাঠে দেখা বড় কোন ভাইয়ার উপর,
হতে পারে পাশের বাসার ছটফটে তরুনীর
উপর,
অথবা নীল-সাদা-কালো এই
ফেসবুকে কারোও
প্রোফাইল পিকচারেল উপর,
ছোটবেলায় খেলারছলে জামাই-বউ
সাজা সেই ছোট্ট কাজিনের উপরও
হতে পারে!…
এই হুট
করে এসে যাওয়া ব্যপারগুলো ততটা প্রভাবশালী না হলেও,
স্থায়িত্বের রেশটুকু ব্যপক।
.
.
আপনি আজ রাতে ঘুমোতে যাবার সময় ঠিক
করে নিলেন, খুব সুন্দর নিজের ইচ্ছেমাফিক
এক
স্বপ্ন দেখবেন।
চোখ বন্ধ করে জোর করে সেই স্বপ্নের প্লটও
সাজিয়ে নিলেন।
আপনি জানেন এটা কেবলই একটা সুখস্বপ্ন, তবু
স্বপ্নের মাঝেই আপনি আপনার অপূর্ণ
আশাগুলো একে একে পূরণ করে চলবেন।
একসময় আপনি ঘুমের আলফা লেভেল পার
করে বিটা লেভেলে পৌছে যাবেন!
এই লেভেলে আর স্বপ্নের
উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা।
তখন স্বপ্ন ইচ্ছেমাফিক চলবে।
সাধারণত ঘুম ভেঙে এই লেভেলের
স্বপ্নগুলোকেই আমরা স্মরণে আনতে পারিনা!
আস্তে আস্তে আপনি চলে যাবেন ঘুমের
গামা লেভেলে।
যে লেভেলে মস্তিষ্ক আর আপনাকে কোন
স্বপ্ন দেখায় না!
আপনি গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন…
আর সকালে উঠে ঐ
আলফা লেভেলে থাকা স্বপ্নটা আপনার
কাছে মনে হবে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
পরদিন হয়তো আপনি আবার সেই স্বপ্নটা চালু
করবেন আগের মতো!
… … …
ঠিক তেমনই হয়ে থাকে টীনএজের সম্পর্ক/
প্রেমগুলো!
হুট করে কাউকে ভালো লেগে গেলো,
বন্ধুরাও আপনাকে আশ্বাস দিয়ে গেলো
ব্যস… আপনিও শুরু করে দিলেন আপনার মনের
ভিতর আলফা লেভেলের ভালোবাসা চক্র!
মেক্সিমাম ক্ষেত্রেই, এই
সম্পর্কটা একতরফাভাবে হয়ে থাকে।
প্রথম প্রথম আপনি তাকে নিয়ে স্বপ্ন
সাজাতে থাকেন,
কারণ তখন সেই স্বপ্নটা দেখতে/
ভাবতে আপনার ভালো লাগে।
একসময় শুরু হয়, স্বপ্ন
বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা।
যাদের ক্ষেত্রে এ লেভেলটা সাকসেস
তাদের নিয়ে একটু পরে আসছি!
অনেকেই তখন তার তৈরিকৃত
স্বপ্নটা সত্যি করে দেখার জন্য
উঠেপড়ে লাগেন।
তৈরি হয় বাস্তবতা।
আপনি তখন খেয়াল করেন যে, আপনার এই হুট
করে ক্র্যাশ খাওয়া সম্পর্কের অস্তিত্ব কেবল
আপনার মাঝে
বিদ্যামান!
শুরু হয় ফ্রাস্টেশন, ক্ষোভ, নস্টালজিয়া, ইনস্
মনিয়া প্রভৃতি।
আপনি এখন লেভেল বিটাতে আছেন।
আপনি চাইলেও এখন আপনার নিজের তৈরিকৃত
স্বপ্নটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না!
এভাবেই চলতে থাকে।
যতদিন আপনি ২য় কোন ক্র্যাশ না হচ্ছেন…
আর যারা আলফা লেভেলের পর
সৌভাগ্যক্রমে রিলেশন করতে পারেন,
তারাও এই লেভেলের বাইরে যেতে পারেন
না!
হয়তো দেখা যাবে, কেউনা কেউ একজন
বিট্রে করছেই!
কারণটা নিতান্তই সিম্পল,
যখন একজন বিটা লেভেলে গিয়ে সঙ্গীর
প্রেমে হাবুডুব খাচ্ছে অন্যজন তখন,
আলফা লেভেলে থেকেই অপর কোন
ক্র্যাশে জড়িত হয়ে যাচ্ছে
সম্পর্কটা ভেঙে যায়।
এখানে লক্ষনীয় যে, দুই পরিবেশের কেউই
কিন্তু “গামা লেভেল” এ যায়না।
তার কারণ, বয়সটা তখন কৈশোর যৌবনের
মাঝামাঝি!
এই বয়সে মনের খেয়ালে অনেক
ভালোলাগা তৈরি হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো,
কয়জন পারে সেই
আধভাঙা স্বপ্নটা ভুলে যেতে??
কেউ কেউ একটু বড় হয়ে,
ব্যপারগুলো ছোটবেলার
খামখেয়ালি ভেবে ভুলে যেতে চায়।
হয়তো পারেও।
নতুন প্রেমিকের বুকে মাথা গুজে খুজে পায়
সুখ।
কিন্তু রাস্তা পাড় হতে গিয়ে যেদিন
সামনাসামনি পড়ে যায় সেই
চশমা পড়া পরিচিত মুখ!
সুখি মেয়েটাও সেদিন বালিশে মুখ
গুজে অল্প কাঁদে।
কেউ কেউ ভুলতে চায়না।
এই অপ্রাপ্তিটাকেই চায় লালন
করতে সারাজীবন।
দূর থেকে হয়তো সে আজও
মেয়েটাকে সে ফলো করে যায়।
চিনে ফেলার আশংকায় কিছুদুর
যেয়ে ফিরে আসে।
জোৎস্না রাতে ছাদের রেলিঙে বসে,
হয়তো কেউ সিগারেটের ধোয়ায়
বৃথা শান্তি খুজে বেড়ায়!
নাহ্…চাইলেও আমরা ভুলতে পারিনা,
১২-১৭ কিংবা ১৮ এই বয়সের সেই
আধোজাগা সম্পর্কগুলো।
কি দরকার?
থাকনা সেগুলো,
হয়তো এই আধভাঙা স্বপ্নটাই সম্পুর্ণ করার জন্যই
রাত জেগে আছে শতসহস্র জোড়া চোখ!
…..
No comments:
Post a Comment
Thanks for give us your openion....!!